রাবেয়া ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে ভাড়া না দেওয়ার অভিযোগ,
মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকায় এক বাড়ির মালিকের উপর হামলা, গালিগালাজ ও চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে। রোববার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শরীফ আহম্মেদ।
ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহেল রানা দলবল নিয়ে ভবনের সামনে অবস্থান নেয় এবং নিচে নেমে আসা ভবনের মালিককে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করে।
সাত মাসের ভাড়া বাকি, চড়া অভিযোগ ভবন মালিকের
ভবন মালিক শরীফ আহম্মেদ জানান, রাবেয়া ক্লিনিক প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা ভাড়ায় তার চারতলা ভবনটি ভাড়া নেয়। কিন্তু গত সাত মাসে এক টাকাও পরিশোধ করেনি। বর্তমানে ভাড়া বাবদ মোট ১৪ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে।
ভাড়া চাওয়ায় উল্টো তার ওপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেন তিনি।
নারী ও মাদক কারবারের অভিযোগ
শরীফ আহম্মেদ আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত পরিচয়ে সোহেল রানা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে তার ভবনে রাবেয়া ক্লিনিক পরিচালনার আড়ালে নারী ও মাদক কারবার চালিয়ে এসেছে। সেখানে নিয়মিত সন্ত্রাসীদের আড্ডা বসত। এসব অপকর্মে বাধা দিলে শরীফ আহম্মেদ নিজেও একাধিকবার হামলার শিকার হন বলে দাবি করেন।
তার দাবি অনুযায়ী, সোহেল রানার ক্লিনিকে চিকিৎসাসেবার নামে মোট ১১০ জন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত হয়নি রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে।
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের ঘটনার পর সোহেল রানা নিজের ভাবমূর্তি পাল্টানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু মানুষ তার মুখোশ চেনে।”
এ বিষয়ে রাবেয়া ক্লিনিকের মালিক সোহেল রানার মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিষয়টি শরীফ আহম্মেদ মৌখিকভাবে আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।