যশোর শহরের মনিহার ফলপট্টি এলাকায় পালিত ছেলের হাতে সুলতানা খালেদা সিদ্দিকা রুমি হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। পালক ছেলে শেখ শামস বিনকে আসামি করে মামলাটি করেছেন নিহত খালেদার ভাইপো জুবায়ের তানভীর সিদ্দিকী জয়। এ মামলায় রোববার শামস বিনকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি হত্যার ঘটনাটি স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী তার জবানবন্দি গ্রহন শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত ও পুলিশ সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে শামস বিন বলেছেন, ফলপট্টি এলকার খালেদা মার্কেটের ভাড়াটিয়া দোকানীদের সাথে তার প্রায় গোলোযোগ বাধে। এ বিষয়ে খালেদাকে শামস ওই দোকানীদের বিষয়ে নালিশ করেন। এসব বিষয় নিয়ে মা ও ছেলের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায় খালেদা বাশ নিয়ে শামসকে মারতে যান। পরে ওই বাশ কেড়ে নিয়ে খালেদাকে মারপিট করে। এসময় খালেদা রক্তাক্ত অবস্থায় বসে পড়েন। এসময় শাসস সিগারেট খেতে বাইরে বের হয়ে যান। পরে সিগারেট খেয়ে ঘরে এসে ঘুমিয়ে পরেন। সকালে উঠে দেখেন খালেদার ঘর থেকে রক্ত বের হচ্ছে ও তিনি মাটিতে লুটিয়ে পরে আছেন। দুপুরে পুলিশ এসে দরজা ধাক্কা দিলে তিনি খুলে দেন।
এ দিকে, মামলায় তানভীর উল্লেখ করেন,সন্তান না থাকায় তিনমাস বয়সে শামসকে তার ফুফু ও ফোপা শেখ শাহজাহান দত্তক নেন। ২০১৪ সালের ফুপার মৃত্যুর পর একই বাড়িতে ফুপু ও শামস বসবাস করতেন। নবম শ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনা করে বেপথে চলে যায় শামস। নিয়মিত নেশা করতে থাকে। নেশার টাকার জন্য পায় খালেদাকে মারপিট করতো শামস। তারই জেরে টাকা না পেয়ে গত ২৪ মে রাতে মারপিট করে হত্যা করে খালেদাকে। পরে মার্কেটের লোকজনের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসনাত বলেন, ছেলেকে আটকের পর রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সাথে শামস হত্যার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এর নেপথ্যে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা সে বিষয়টিও তারা খতিয়ে দেখছেন।