কালীগঞ্জে কাজে আসছে না সাড়ে ৪ কোটি টাকায় নির্মিত সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয় ভবন
বিল্লাল খা কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
➡️পুরাতন ভবনে ঝুঁকি নিয়ে চলছে কাজ।
➡️ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এক বছর পূর্বেই শেষ করেছে কাজ।
➡️ গণপূর্ত বিভাগ বলছে, নিয়মিত সাব রেজিস্টার না থাকায় ভবন বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব হচ্ছে।
➡️ সদ্য যোগদানকৃত সাব- রেজিস্টার বলছেন, গণপূর্ত বিভাগের সাথে কথা বলে দ্রুতই ভবন বুঝে নেওয়া হবে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়কে আয়েশা তেল পাম্প এর পাশে ৫৩৪ নং খতিয়ানের ৫৮৭ নং দাগে ২৪ শতাংশ জমি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নামে অধিগ্রহন করে ভবন নির্মানের জন্য টেন্ডার আবহবান করে জেলা গণপূর্ত বিভাগ। উক্ত ভবনটির কাজ ১৬ মে ’২৩ তারিখে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমান কাজটি শুরু করে। বর্তমানে ভবণটির কাজ সম্পূর্ণরুপে শেষ হলেও নানা জটিলতার কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ভবণটি হস্তান্তর করতে পারছেন না। ফলে ভবণটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে জানালা-দরজা ও আসবাবপত্র। প্রশাসনিক অনুমোদ না পাওয়ায় ভবনটিতে এখনো শুরু হয়নি কোন কার্যক্রম। সেকারণে কোনো কাজেই আসছেনা ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ভবনটি। অপরদিকে বর্তমানে উপজেলা পরিষদ এলাকায় পুরাতল জরাজীর্ণ ঝুকিপূর্ণ একতলা ভবনে দূর্ঘটনার শঙ্কা নিয়ে চলছে সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কার্যক্রম। ওই ভবনটির পলেস্তরা খসে খসে পড়ছে। বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পড়ে নষ্ট হচ্ছে আফিসের গুরুত্বপূর্ণ সব নথি। এমন পরিস্থিতিতে উক্ত অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ দ্রুত নব নির্মিত ভবনে স্থানন্তরিত হওয়ার দাবি জানান।
সাব- রেজিষ্ট্রি অফিসে সেবা নিতে আসা দীন মোহাম্মদ বলেন, এই ভবনটি অনেক পুরাতন। অফিস কক্ষ গুলোর জায়গাও অনেক কম। দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কাজ করা লাগে। শুনেছি নতুন ভবন হয়েছে, তাহলে কেন এখনও এতো ছোট জায়গায় গাদাগাদি করে আমাদের জমি রেজিষ্ট্রি করতে হচ্ছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স মিজানুর রহমান এর পক্ষে উজ্জল ঘোষ বলেন, নির্মান কাজ শেষ হয়েছে গত বছর ৩০ জুনের মধ্যেই। আমরা বুঝে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। হস্তান্তর করতে না পারার কারণে আমাদের অনেক টাকার বিলও তুলতে পারছিনা। ঝিনাইদহ জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেন্ডার অলিভার গুডা বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রি অফিসে দুই বার চিঠি দেওয়া হলেও কালীগঞ্জ উপজেলায় নিয়মিত সাব-রেজিস্টার না থাকায় ভবনটি হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্তমানে নতুন কর্মকর্তা যোগদান করেছেন, তিনি সম্মতি দিলেই দ্রুত হস্তান্তর করা হবে ভবনটি। কালীগঞ্জ উপজেলায় সদ্য যোগদানকৃত সাব-রেজিস্টার মো.রিপন মুন্সি জানান, আমি অসুস্থ থাকায় ছুটিতে আছি। ছুটি থেকে ফিরে আমার বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে গণপূর্ত বিভাগের নিকট থেকে দ্রুত ভবনটি বুঝে নিয়ে সেখানে কার্যক্রম পরিচালনা করার ব্যবস্থা গ্রহন করব।