1. [email protected] : sktv24net :
  2. [email protected] : unikbd :
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মাগুরায় আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো মোড়গ লড়াই: বগুড়া সিটি আছিল ক্লাবের ‘মামু পাখনা’র দুর্দান্ত জয়! দেশ নিয়ে যড়যন্ত্র চলছে, সবাইকে সজাগ থাকতে হবে : এ্যানী চৌধুরী মহেশপুর দত্তনগর কৃষি খামারে যুগ্ন-পরিচালকের নেতৃত্বে অনিয়মের অভিযোগ সাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা, দেখে নেওয়ার হুমকি যুবকের দীর্ঘ ১১ বছর পর ২৫ মে রবিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ঝিনাইদহ জেলার জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন জিসাস এর মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বুজরুক মুন্দিয়া গ্রামে ‘অলস ঘর’ নামের একটি ব্যতিক্রমী ও বিতর্কিত সংগঠনের কার্যক্রমে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। সাংবাদিকদের ছদ্মবেশে প্রতারক চক্র! প্রেসক্লাবের তহবিল লোপাটে ব্যাংক কর্মকর্তার সহায়তা জালার উদ্দিন কে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তদন্তের ভিত্তিতে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে

ঝিনাইদহে বয়স না হতেই বিয়ের পিড়িতে ২১৩ কিশোরী

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
  • ৩৮ বার পঠিত

ঝিনাইদহে বয়স না হতেই বিয়ের পিড়িতে ২১৩ কিশোরী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

এসএসসি পরীক্ষার আগেই ঝিনাইদহে ২১৩ জন কিশোরী বিয়ের পীড়িতে বসেছে। ফলে ফরম পুরণ করেও তারা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেনি। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিস থেকে পাঠানো জেলার এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার এক জরিপে বাল্যবিয়ের এই চিত্র উঠে এসেছে।
জেলা শিক্ষা অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বালকের অনুপস্থিতি ছিল ৬৬ জন ও বালিকা রয়েছে ২০৪ জন। এই পরীক্ষায় ২০৪ জন বালিকার মধ্যে অনুপস্থিত ১৭৪ জন কিশোরীর বিয়ে হয়ে গেছে। এছাড়া দাখিল পরীক্ষায় ৩৩ জন ও ভকেশনাল পরীক্ষায় ৬ জন ছাত্রীর বিয়ের তথ্য পেয়েছে শিক্ষা বিভাগ।
বাল্যবিয়ে নিয়ে কাজ করা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলছেন, ঝিনাইদহে বাল্যবিয়ে ঠেকানো দুরুহ ব্যাপার হয়ে দাড়াচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারী এড়িয়ে গোপনে কিশোরীদের বিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে সমাজে তালাক ও বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ বছর এসএসসি পরীক্ষার আগেই ঝিনাইদহে ২১৩ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এসএসসির ফরম পুরণ করেও তারা পরীক্ষার হলে ছিল অনুপস্থিত। এ নিয়ে প্রশাসনের তোলপাড় শুরু হয়। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির তৎপরতা থাকলেও বিয়ে ঠেকাতে তারা হিমশিম খাচ্ছে।
বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা রুরাল ডেভলপমেন্ট সেন্টারের নির্বাহী প্রধান আব্দুর রহমান জানান, এসএসসি পরীক্ষার পর বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার কমে যাওয়ার বিষয়টি তিনি তুলেছিলেন। ওই সভায় জেলা প্রশাসক বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিস ৬ উপজেলায় জরিপ চালিয়ে বাল্য বিয়ের এই সত্যতা পান। তিনি বলেন বাল্যবিয়ে রোধ করতে না পারা আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যের বিষয়।
ঝিনাইদহ জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মুন্সি ফিরোজা সুলতানা বলেন, এই বিয়ের বিষয়ে প্রশাসনের বিন্দুমাত্র গাফলতি নেই। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটিতে যারা আছেন সবাই খুবই আন্তরিক। কিন্তু গোপনে ও স্থান পরিবর্তন করে বিয়ে দেয়ার কারণে এসব খবর আমরা জানতে পারিনি। তিনি বলেন তরপরও এই ব্যার্থতা তো আমাদেরই।
ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা অফিসার লুৎফর রহমান জানান, বালিকাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে গরহাজিরের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা গেছে জেলায় ২১৩ জন শিক্ষার্থীর বিয়ে হয়ে গেছে, যা খুবই উদ্বোগজনক। জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা মোছা আফরোজা পারভীন বলেন, জন্মনিবন্ধনে বয়স বাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলে বাল্য বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর তখন আমরা জানতে পারি। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও কিশোরীকে গোপনে স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় ২৫৭ জন এসএসসি পরীক্ষার্র্থী বিয়ের পিড়িতে বসে। গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা কমেছে।

শেয়ারঃ

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫
Developed By UNIK BD